আমার ডালের নিজস্ব নতুন পন্য- লাচ্ছা সেমাই।
সেমাই একটি মিষ্টান্ন জাতীয় খাদ্য। নুডলস্-এর মত অতি চিকন আটার ফালিকে দুধ, চিনি এবং গরম মশলা ও কিসমিস দিয়ে রান্না করা হয়। পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে এটি খুবই জনপ্রিয় খাবার, বিশেষ করে ঈদুল ফিতর উৎসবে এটি একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ এবং বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে কোথাও কোথাও এই উৎসব সেমাই ঈদ নামেও পরিচিত।
সেমাই দুই প্রকার। যথা হাতে তৈরী সেমাই ও মেশিনে তৈরী সেমাই। সেমাই আটার মণ্ডকে সরু ও দীর্ঘ ফালিতে ভাগ করে প্রস্তুত করা হয়। বর্তমানে সেমাই মূলত যান্ত্রিক পদ্ধতিতে মেশিনে তৈরি করা হয়, যা বাজারে প্যাকেটজাত করে বিক্রয় করা হয়। তবে পূর্বে ঘরে সেমাই তৈরির চল ছিল, যা মূলতঃ বাড়ির মেয়েরা হাতে কেটে তৈরি করতেন এবং এটি বেশ সময়সাপেক্ষ একটি প্রক্রিয়া।
সেমাই মূলত দুই প্রকার:
১) সাধারণ সেমাই ও
২) লাচ্ছা সেমাই।
ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন ভাষাতে সেমাইয়ের নাম একেক রকমের। বাংলায় অবশ্য সেমাই। তবে হিন্দি, উর্দু ও পাঞ্জাবিতে ‘সেমিয়া’ অথবা ‘সেভিয়াঁ’। মারাঠিতে বলে ‘সেমাইয়া’, গুজরাটিতে সেই ‘সেমাইয়া’ এবং তেলেগু, তামিল ও মালায়লামে ‘সেমিয়া’ বলা হয়।
ভারতের অনেক অঞ্চলে অবশ্য সেমাইয়ের দুই রূপ — এক হলো ‘নামকিন সেমাইয়া’ বা ‘নোনতা সেমাই’, অন্যটা হলো ‘সেমিয়া সেভিয়াঁ ক্ষীর’। অর্থাৎ দুধের মিশ্রনে তৈরি মিষ্টি। বাংলাদেশের সেমাইয়ের স্বাদ একটাই — আর তা হলো মিষ্টি।
আমার ডাল আপনাদের জন্য প্রস্তুত করেছে উন্নত মানের লাচ্ছা সেমাই। উন্নতমানের ময়দা, ডালডা এবং তেল এই লাচ্ছার মুল উপাদান। ভুলেও ভাব্বেন না যে এই সেমাই ঘি –এ ভাজা অথবা ঘি-এর লাচ্ছা বা ঘি ছিটানো লাচ্ছা। ঘি বা ঘি এর বংশের একটি অংশও কিন্তু এই লাচ্ছা প্রস্তুতে ব্যবহার করা হয় নি। সাধারণত যদি ঘি-এ ভাজা লাচ্ছা বলে কিছু অসাধু ব্যাবসায়ী আকর্ষণীয় মোড়কে ঘি এসেন্স ব্যাবহার করে হর-হামেশাই ভোক্তা দের সাথে প্রতারনা করে থাকেন। আকর্ষণীয় মোড়কের মধ্যে কুচি কুচি করে কাটা কিছু বাদাম আর কিশমিশ দিয়ে সুন্দর করে ডেকোরেশন করে মন মত দাম হাঁকেন।
যদি ঘি-এ ভেজে লাচ্ছা খেতেই হয় তাহলে আমাদের কাছে উন্নতমানের ঘি রয়েছে সেই ঘি এই সেমাই এর সাথে অর্ডার করুন আর সেমাই দুধে ভেজানর আগেই একটু ঘি দিয়ে ফ্রাই প্যান লাচ্ছা টুকু ভেজে নিন। ব্যাস তাহলেই ঘি-এ ভাজা লাচ্ছা হয়ে গেল।
Reviews